"নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ্য থাকি" এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আজ মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০১৯, দুপুর ১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ.এন.ও) জনাব কাজী আরিফুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, যেহেতু এটি একটি মশাবাহিত রোগ, তাই মশার বংশ বৃদ্ধিরোধ, নিধন ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সে জন্যে, ঘরবাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা, ফুলের টব, বাথরুম, ফ্রিজ ও এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। প্রয়োজনে নিজেদের উদ্যোগে নিয়মিত মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও ব্লাড ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত মজুদ, ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার সরকার নির্ধারিত ফি রাখা, সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনা বৃদ্ধি এবং রোগীদেরকে নিবিড় সেবা করার আহ্বান জানান ।
আলোচনা সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রতিনিধিগণ, এনজিও প্রতিনিধিগ্ণ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুজ্বর এডিস এজিপ্টি জাতীয় মশাবাহিত রোগ, এ মশা দিনে কামড়ায়। সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের মূল পার্থক্য হলো প্রথম দিন থেকেই জ্বর অনেক বেশি থাকে(১০২-১০৩ ডিগ্রি)। সঙ্গে মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, চোখের পেছনেসহ দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমনিতেই কয়েক দিনেই ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে রোগীকে বেশি বেশি করে পানি ও তরল খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দেয়া যেতে পারে। জ্বর যদি খুব বেশি হয়, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS